কিন্তু এই দেহব্যবসার কাজটা খুব সোজা নয়। খদ্দেররা অনেক সময় শোয়, সব করে, কিন্তু নিজেদের চাহিদা মিটে গেলেই পয়সাকড়ি না দিয়ে পালায়। একদিন পার্কে গেছি, একজন পুলিশের লোক এসে বললো ওর সাথে যেতে। আমি প'¡শ টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কুড়ির বেশি দেবেনা। পুলিশের লোক তো, তাই ওতেই রাজী হলাম। কিন্তু যেই না তার মজা লোটা হয়ে গেল, সে উল্টোবাগে হাঁটা দিলো। কুড়ি টাকারও দেখা পেলামনা। আমি দৌড়ে তাকে ধরে বললাম যে টাকা না দিলে পুলিশে রিপোর্ট করবো। সে তো হেসেই অস্থির। প্রমাণ কোথায় যে এমনি হয়েছে? আমি কন্ডোমটা দেখলাম, গিঁট দিয়ে বাঁধা, ভেতরে ওরই বীর্য্য রয়েছে। কিন্তু সে নির্বিকার মুখে বললো যে এটা যে ওরই তা কে বিশ্বাস করবে? ... ...
দুর্বারের এ. জি. এম বা রিট্রিট যখন হতো লাঞ্চ ব্রেক - এ আমরা থালা হাতে খাবার লাইনে দাঁড়াতাম। উনিও তাই করতেন। সারাদিন যখন আলোচনা হচ্ছে, প্রেজেন্টেশন হচ্ছে তখন উনি এক রকম, আবার সেই মানুষটাই মিটিং এর বাইরে যখন দেশ-বিদেশের কথা বলতেন তখন একেবারে খুব কাছের বন্ধুর মতো কথা বলতেন। একটা জিনিস খুব অবাক করতো আমাদের। সমস্ত বিষয়ে ওনার অবাধ বিচরণ অর্থাৎ বিজ্ঞানে যতটা দক্ষ ততোটাই ইতিহাস-ভূগোল সমাজতত্ত্ব সব বিষয়ে। যৌনকর্মী দিদিদের প্রতি যে মমত্ব ওনার দেখেছি তা ভোলবার নয়। একজন নেত্রীর অপারেশনের সময় সস্ত্রীক সারাদিন হাসপাতালে থেকেছেন। আবার কোন নেত্রী অসুস্থ হলে কিভাবে কোনো ভালো জায়গা থেকে তাকে সুস্থ করা যাবে তার চেষ্টা করেছেন সব সময়। ... ...
এই লেখা মানবিক যৌনতাকে ঘিরে আজকাল যে যে বিতর্কগুলি গড়ে উঠেছে, গজিয়ে উঠেছে তার একটি বিশেষ পরিসরকে নিয়ে। মানুষের বিভিন্নরকম যৌন আচরণ কতটা প্রাকৃতিক (পড়ুন স্বাভাবিক) আর কতটা অ-প্রাকৃতিক, তা নিয়ে। এই লেখায় আমরা মানবিক যৌনতাকে বহুবচন হিসেবে ধরে নিয়েছি, মানুষের যৌন আচরণের বহুত্বকে (সমকামী, বিসমকামী, রূপান্তরকামী ইত্যাদি) সামাজিক বাস্তবতা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি। ... ...
আমার বন্ধুদের মধ্যে যেন বোমা পড়ল। কেউ ভাবতে পারেনি আমি ওই সম্পর্কে কখনও থাকব না, এমন হতে পারে। আর কারণটা জানাতে শুরু করলাম সবাইকেই, কিছু না লুকিয়ে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু মানুষের সঙ্গে আলাপ হল। সমকামী ও রূপান্তরকামী নারীপুরুষ সকলে। একটা অদ্ভুত জগৎ। সবটার সঙ্গে নিজেকে না মেলাতে পারলেও, চেষ্টা করতাম – যতটা পারা যায় জ্ঞান সঞ্চয় করতে। মনে হত, আর কোনও পরীক্ষা কি আছে, যা থেকে বোঝা যাবে আমি কী? আমার তো কোনও সমকামী সম্পর্কও নেই। কী করে প্রমাণ দেব, যে আমি সমকামী? কী করে বাকিদের বোঝাব, যে আমার সম্পর্ক ভাঙার আর কোনও কারণ নেই এটা ছাড়া? কী করে জাস্টিফাই করব আমার দাবি? ... ...
তাহলে কেটেকুটে হাতে বাঁচল কি? একদিকে খোলা হাওয়ায় সমাজ স্বীকৃতি দিতে তৈরি হচ্ছে মত ও পথের বিভিন্নতাকে, যারা এতদিন প্রান্তে অবস্থান করতেন তাদের মূলস্রোতে মিলিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে, অন্যদিকে পাহারায় দাঁড়িয়ে আছেন কট্টর নৈতিক জ্যঠামশাই বা মরাল মাসিমারা। এই দুই ভিন্ন মেরুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি আমরা সবাই, কেউ চোখ খুলে বা কেউ বুজে। আর উদারতা এবং গোঁড়ামির এই বিচিত্র নকশি কাঁথার দিকে তাকিয়ে দিন গুনছি আমরা অসংখ্য গে এবং লেসবিয়ানরা ... ...
এই প্রেক্ষাপটে, সুপ্রীম কোর্টের নতুন রায় ৩৭৭ ধারার প্রযোজ্যতাকে একটা নতুন ধরণে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই রায়ের পরে ৩৭৭ ধারা আরো বেশি করে 'সমকামিতা'-বিরোধী আইন হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে, যাতে এটা আরো বেশি বিপজ্জনক ভাবে প্রযুক্ত হতে পারে। এই আইন নাকি বিশেষভাবে 'সমকামিতা' কে অবৈধ করে, এইরূপ অপপ্রচারের ফলে পুলিশ এবং সমাজের রক্ষণশীল অংশ আরো বেশি করে জানতে পারছে যে ৩৭৭ ধারাকে প্রান্তিক লিঙ্গ ও যৌনতার মানুষদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । কিন্তু এই ধারা নিয়ে চর্চা করে এবং গণমাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই আইনের গুরুত্বকে যতটা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে, এই বিচার ও ৩৭৭ ধারার সঠিক অর্থ নিয়ে ততটা আলোচনা হয়নি। সুপ্রীম কোর্টের এই নতুন রায়ের দরুণ যে যে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ দেখা গেছে তা আসলে ২০০৯ সালের সেই সিদ্ধান্তের প্রতীকি গুরুত্বের ফল । সংখ্যালঘু যৌনতার অধিকারের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক রায়ের তাৎপর্য ও গুরুত্বকে খাটো করার জন্য এই কথা বলা হচ্ছে না। কিন্তু হয়ত আন্দোলনকর্মীদের, বিচারব্যবস্থার এবং গণমাধ্যমের উপলব্ধি করার সময় এসেছে যে লিঙ্গান্তরকামী বা যৌনসংখ্যালঘু মানুষের জীবনে অসহায়তা এবং তাঁদের অধিকারলঙ্ঘন শুধুমাত্র ৩৭৭ ধারার নিরিখে বিচার করা যাবে না, বরং তা এই আইন এবং বিচারের চেয়ে অনেক সুদূরপ্রসারী আকার নেয়। শুধুমাত্র ৩৭৭ ধারার প্রতি অতিরিক্ত নজর না দিয়ে যৌনতা ও লিঙ্গ -ভিত্তিক বৈষম্যের সেই বিস্তৃত ক্ষেত্র সমকালীন ও ভবিষ্যৎ ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রস্থলে নিয়ে আসতে হবে। ... ...
দুটি সমকামী ছেলের আত্মহত্যা করার ঘটনা নিয়ে কপি-পেস্ট করার মত আবেগ (এবং হ্যাশট্যাগ) বাজারে ছাড়া যায় না। ওটা নিয়ে আমরা চায়ের টেবিলে আলোচনা করতে পারি না যে। আর মাস হিস্টিরিয়ার উপাদান তো নেইই। আবেগ আর ভাবাবেগ ঠিক এক জিনিস নয়। আবেগটা নিজের ভিতর থেকে আসে। দ্বিতীয়টা অনেকটা গড্ডলিকাপ্রবাহের মত। একটা ধর্ষণের ঘটনার পর প্রচুর লোক আছে যারা "ডেথ পর রেপিস্ট" বলে হ্যাশট্যাগ দেয়। যাদের দায়বদ্ধতা থাকার কথা - সরকার, পুলিশ, আইনব্যবস্থা- এরাও কিন্তু চায় একটা সহজ ভাবাবেগ নিয়ে মানুষ মেতে থাকুক- কারণ খুঁটিনাটি সংস্কার অনেক সময়সাপেক্ষ, সংসাধনসাপেক্ষ কাজ। যেসব বিষয় নিয়ে গোষ্ঠী-আবেগ, ভাবাবেগ এগুলো জাগানো যায় না সেগুলো কম মনোযোগ পায়। ... ...
যে জনসমাজের জন্য দুর্বার তা যাতে তাঁরাই দেখভাল করতে পারেন, অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর দ্বারাই পরিচালিত হয় তাঁদের সংগঠন সে বিষয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন তৎপর। এখন গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দ্বারা যৌনকর্মীরা তাঁদের মধ্য থেকে সচিব, সভাপতি ইত্যাদি নির্বাচিত করেন। ভোট হয় সেখানে, যৌনকর্মীদের নিজস্ব ভোট। পৃথিবীর ইতিহাসে যা যথেষ্ট ব্যতিক্রমি বলা যায়। যৌনকর্মীদের অর্জিত অর্থ যাতে সঞ্চিত থাকে, সুরক্ষিত থাকে তার জন্য সমবায় গড়ে তোলার প্রচেষ্টা আর এক ইতিহাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্নাতক এবং গণস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা মানুষ হয়েও ডাঃ জানা এবিষয়ে তৎপর হন। যৌনকর্মীদের সমবায় ব্যাঙ্ক আদৌ হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তুমুল বিতর্ক হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৯০-এর মাঝামাঝি আইনের কিছু অংশের পরিবর্তন করতে হয়। দুর্বার অনুমতি পায়। ... ...
এত থিওরি কপচে কীই বা হয়? আমার খোঁজার পরিধি আপনার দ্বিগুণ বলে হিংসে করেই বা কী হবে? চলুন না প্রেমে পড়ি, প্রেমিকের কি আর ওরিয়েন্টেশন হয়? ব্রহ্মা শতরূপাকে মেপে কেটেছেঁটে সাইজ করে নিলেও, শিব কিন্তু অত ঝামেলায় যাননি। শক্তি হোন বা হরি, যেমন-কে-তেমন গ্রহণ করেছেন। প্রেমিকের মাপকাঠিতে তাই তাঁর চেয়ে ভারি আর কেউ নেই। আর একটা কথা, যে থাকার সে থাকবেই, ঠেলে সরিয়ে দিলেও শেষ মুহূর্ত অবধি সম্পর্কটাকে বাঁচানোর জন্য লড়ে যাবে। আর যে না থাকার, সে স্ট্রেট গে বাই ট্রান্স যাই হোক না কেন থাকবে না। বিশ্বাস করুন, মেঘে মেঘে বয়েস তো কম হল না, নিজের ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। ... ...
- আচ্ছা, তুমি কি কোনো কঠিন রোগের জন্য স্টেরয়েড নিয়েছ ছোট থেকে? কারণ আমার কাছে একটি মেয়ে এসেছিল তার বাবা মার সাথে, তার boyfriend ছিল, কিন্তু তার ওষুধে সমস্যা হয়েছিল, তারপর লেসবিয়ান ছিল কিছুদিন। তারপর আমার ওষুধে ঠিক হয়ে একটা ছেলের সাথে সংসার করছে। তাই আমি তোমার মেজোমামাকে বলেছিলাম, তোমার সাথে একটু কথা বলব। ... ...
তিনদিনের প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় দিন দ্বিপ্রহরের কিছু সংখিপ্ত চিত্র ছাড়া এই উৎসবে আমার দেখা ও অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ঢুকেছিল তৃতীয় দিনের শেষ তিনটি নিবেদন। এর মধ্যে Clashing Differences ও ‘এক জগাহ আপনি’ আলোচনার পৃথক পরিসর ও প্রেক্ষিত দাবী করে, আসুন আমরা বরং দেখতে বসি ‘এক্কা দোকা তেক্কা’ - একটা বাংলা ছায়াছবি যেখানে শেষ বিন্দুতে এসে মিশে যায় বাঙালীর চেনা তিন-তিনটি আখ্যান। ... ...
আরে মানবিকতা কি ইজের নাকি য্খন খুশী যত খুশী যেদিকে চাই স্ট্রেচ করা যায়? এরকম করতে করতে একদিন পশু-মানব মৈত্রীর খাতিরে কচি পাঁঠাও ত্যাগ করতে হবে। তোদের মত যারা সরল হাসির জিনিস কে নিয়ে জলঘোলা করতে পারে, তাদের মনেই খুঁত। বিলক্ষণ জানি। আর জানি -- ক্লীবে প্রেম করে যে জন, সে জন মারিছে হিউমার । আবার বলি, আমরা কিন্তু শুধুই হাসতে চেয়েছিলাম। আমার হার্ট ঠিক জায়গাতেই আছে, তাতে কেউ হার্ট হলে আমার দোষ না। দুনিয়া টা জানবি কন্সার্ভেশান ওফ খিল্লি প্রিন্সিপলে চলছে। খিল্লি লস্ট = খিল্লি গেইনড। ... ...
স্বভূমে পরবাসী আমি সেদিন কাজে যাবার পথে স্মার্টফোনের পাতায় খবর দেখতে গিয়ে সেই ঝাপটা খাই। ৩৭৭ ফিরে আসার খবর। মোবাইলে মেসেজ ভেসে আসে। আর ওলট পালট হতে থাকে আমার ভিতর। বাসভূমি থেকেও কি চিরকাল তবে স্বদেশহারা থেকে যাব আমরা? কখনো এ দেশে, শৈশবের মাঠে, কৈশোরের শুঁড়িপথে হাত ধরে হাঁটা হবে না আমাদের, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা হবে না বৃষ্টির বোলপুরে, অকারণে অপরাধী হয়ে থাকতে হবে? সন্তান, স্বাগতম, শুভেচ্ছা কিছুই পাব না? আমরা একটিভিস্ট নই, রাজনীতিক নই, নিতান্ত সাধারণ মানুষ। মুখচোরা, পড়ুয়া, হাসিখুশি, চোখে চশমা, ঠিক আর পাঁচজনের মত মানুষ। আমরা ভয় পাই। ক্লান্ত, অন্তহীন লড়াইএর ভয়, অহেতুক আক্রমণের ভয়, ঘৃণার ভয়, কৌতুহলের ভয়, জীবিকা হারানোর ভয়। আর অপমানিত হই। যখন সর্বশক্তিমান ধর্মগুরু বলেন আমাদের সারিয়ে দেবেন যে কোনো দিন। যখন কাগজের পাতা থেকে টিভির পর্দায় আমাদের যৌনজীবনের ঠিক কতটা "এগেইনস্ট দ্য নেচার" এই নিয়ে ডিবেট চলে। যখন ধরেই নেওয়া হয়, আমাদের প্রেম প্রেম নয়, দুটি যৌনাঙ্গের বিকৃত সহাবস্থান মাত্র। একে অন্যকে আঁকড়ে এই ভয় বুকে নিয়ে আমরা ঘুমোই, আর সারাদিন আমার চোখ জ্বালা করে। সারাদিন। ... ...
“কী রে, তোর বিয়েতে কবে খাব... ???” এই প্রশ্ন তো সয়ে গেছে এবং আমি বেশ ইনোভেটিভ উত্তরও দিই। তার ভয়ে আর কেউ এই কথা আর তোলে না। তবে একটা জিনিস অনুভব করি – যেটা আজকাল বেশ মনে হয়; সেটা হল একটা অদ্ভুত exclusion – অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার একটা অনুভূতি ... আরও কেমন লাগে, যখন দেখি, যে সেই বিবাহিত জুটিদের নিজেদের মধ্যেকার হাসা-হাসি-ইয়ার্কি, সেখানেও সেই exclusion-এর একটা অনুভূতি। অথচ আমার মনে কিন্তু একটা অপূর্ণ সাধ রয়েই গেছে – বিয়ে করার, ঘর বাঁধার – এইসব শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি শুনলে এই ইচ্ছেগুলো বেশ নড়েচড়ে ওঠে, নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়, মন কেমন করিয়ে তোলে। ... ...
মায়ের যদিও আমার সাজগোজ সম্পর্কে কোন দিন কোনো সমস্যা ছিল না। ছোটবেলায় যখন অতিরিক্ত মেয়েলি ছিলাম তখন ও আমার মা কোনদিনও আমার মেয়েলি স্বভাব নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেনি। আজ হয়তো সেই মেয়েলি স্বভাব গুলো জীবনে আর নেই কিন্তু আমি নিজে যে প্রচন্ডভাবে কুইয়ার সেটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই । তা সত্ত্বেও আমার মায়ের থেকে টিপিক্যাল রাশভারী পুরুষ চরিত্র না হওয়ার জন্য কোন দিন কথা শুনতে হয় নি। ... ...
নাম : অরিজিৎ চন্দ্র (ছদ্মনাম) বয়স : ২৩ কি করেন : স্নাতক কিন্তু এখনো বেকার যে দেশের নাগরিক : ভারত অর্থনৈতিক অবস্থা : অন্যের ওপরে নির্ভরশীল ... ...
আমি চাই লোকে আমাকে আমার গুণের জন্য চিনুক, আমি কেমন মানুষ সেই দিয়ে আমার বিচার হোক, আমার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন দিয়ে নয়। ... ...
আইডেন্টিটি বা পরিচয় কী? সমাজের দ্বারা নির্ধারিত না জৈবিক, নাকি দুইয়ে মিলেই, নাকি আরও অন্য কিছু? ম্যাকক্লস্কির ক্ষেত্রে সমাজ বা বায়োলজি, এ দুইয়ের বাইরে পরিচয় নির্ধারণের আরো একটা জায়গা রয়েছে, যা তাকে বলে দেয় কোনটা তার "আসল' পরিচয়। ম্যাকক্লস্কি স্বীকার করেন না যে মানুষের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট পরিচয় গাঁথা আছে যাকে বের করে আনাই মানুষের একমাত্র নিয়তি, বরং পরিচয় মানুষের স্বাধীনতার ফসল, যা সে নিজের পছন্দমত গড়ে নিতে পারবে। ম্যাকক্লস্কি বার বারই জৈবিক লিঙ্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শরীরের আর পাঁচটা অঙ্গের তুলনা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কারুর চোখ কটা হলে সেটা তো তার গোটা সমাজের সাথে সম্পর্ক স্থির করে দেয় না, যেমনভাবে দেয় তার লিঙ্গ পরিচয়, ফলে এই তুলনাগুলো কিছুতেই মানুষের অর্ডারের ধারণাকে টলাতে পারে না। ... ...
কবে থেকে আপনি জানতে পারলেন যে আপনার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন অন্যদের থেকে আলাদা? (যেমন ধরুন ছোটবেলায় কি ধরণের খেলনা আপনার পছন্দ ছিলো সেখান থেকেই শুরু করতে পারেন।) উত্তর -- আমি ছোটবেলায় বার্বিডল নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসতাম। ঠিক কবে যে বুঝতে পারলাম যে আমি একজন 'গে' তা অবশ্য মনে করতে পারবোনা। মানে, অনেক ছোট থেকেই আমি ছেলেদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতাম, কিন্তু 'গে' শব্দটা তো শিখলাম আমার চৌদ্দ বছর বয়েসে। ...... ... ...